মো. আবু জাফর সিদ্দিকী

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৩৬ পিএম
নামান্তরে:
মো আবু জাফর সিদ্দিকী
আবু জাফর সিদ্দিকী
মো. আবু জাফর সিদ্দিকী

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী: জীবন ও কর্মজীবন

মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইনবিদ এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারী কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আটিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু করেন ১৯৮৫ সালে জেলা আদালতে। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। ২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আপিল বিভাগে পদোন্নতি লাভ করেন। ১০ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেন।

বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর বিচারিক কর্মজীবন উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু মামলার সাথে জড়িত। বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, নিজাম হাজারীর সংসদীয় সদস্যপদ সংক্রান্ত মামলা, এবং খালেদা জিয়ার মানহানির মামলাসহ তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় প্রদান করেছেন। তার রায় এবং সিদ্ধান্তগুলো আইনজীবী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

তার ছেলে মো. জুম্মন সিদ্দিকী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় একাধিকবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে অনুশীলনের অনুমতি পেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের তদন্তের বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর কর্মজীবন ও সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে তার কিছু সিদ্ধান্ত এবং কাজ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনাও রয়েছে। তার পদত্যাগের ঘটনায় বাংলাদেশের আইন ও রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিলেন।
  • তিনি ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারী কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
  • বিডিআর বিদ্রোহ, নিজাম হাজারীর সংসদীয় সদস্যপদ, খালেদা জিয়ার মানহানি মামলাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাথে জড়িত।
  • ১০ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো আবু জাফর সিদ্দিকী