মেয়র শাহাদাত

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:২৪ এএম

চট্টগ্রামের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন : আইনি লড়াইয়ের জয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নতুন মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বিএনপির নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। ৩ নভেম্বর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন। এই নিয়োগ আইনি লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি এবং একই সাথে চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বিজয়ী ঘোষিত হলেও, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ডা. শাহাদাত হোসেন মামলা করেন। তার অভিযোগ ছিল, ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় গত ১ অক্টোবর। চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন। ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সচিব এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সাথে রেজাউল করিম চৌধুরীকেও অপসারণ করা হয়। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথ গ্রহণের পথ সুগম হয়।

শপথ গ্রহণের পর ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, তিনি চট্টগ্রামকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন। তার পরিকল্পনায় রয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান, এবং নাগরিক সেবা উন্নত করা। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় নতুন মেয়রের সামনে বড় বড় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ৪১১ কোটি টাকারও বেশি দেনা, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ, এবং পূর্ববর্তী প্রকল্পগুলির কার্যকর বাস্তবায়ন তার প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে এই চ্যালেঞ্জগুলি কতটা সফলতায় মোকাবেলা করা যায়, তা সময়ই বলে দেবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
  • ২০২১ সালের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে আদালত তাকে মেয়র ঘোষণা করে।
  • চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা সমাধান এবং নাগরিক সেবা উন্নয়ন তার প্রধান লক্ষ্য।
  • সিটি কর্পোরেশনের অর্থনৈতিক সংকট ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ তার সামনে বড় প্রতিবন্ধকতা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।