মেহেরপুর সদর থানা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৩৫ পিএম

মেহেরপুর সদর থানা: ঐতিহাসিক ঝাঁকুনি ও বর্তমান বাস্তবতা

মেহেরপুর সদর থানা, বর্তমানে মেহেরপুর সদর উপজেলা, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক এলাকা। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনীতি, শিক্ষা, এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ঐতিহাসিক পটভূমি:

মেহেরপুরের নামকরণ নিয়ে দুটি প্রধান মতবাদ রয়েছে। একদলের মতে, দরবেশ মেহের আলী শাহের নামানুসারে এর নামকরণ। আরেক দলের মতে, বচনকার মিহিরের নাম থেকে মিহিরপুর, পরে অপভ্রংশে মেহেরপুর হয়েছে। তবে ঐতিহাসিক প্রমাণের অভাবের কারণে, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। তবে, সপ্তম শতাব্দীতে রাজা শশাঙ্ক, পাল বংশ, সেন বংশের শাসনাধীনে ছিল মেহেরপুর। মুঘল আমলে, বাগোয়ানের ভবানন্দ মজুমদার নদীয়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন, যা মেহেরপুরের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ১৭৯৯ সালে মেহেরপুর ও গাংনী নদীয়া জেলার দুটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ফলে মেহেরপুর বিভক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মেহেরপুর বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা পায়।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা:

মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এর উত্তরে কুষ্টিয়া জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া, এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত। বর্তমানে এ জেলায় তিনটি উপজেলা (মেহেরপুর সদর, গাংনী, মুজিবনগর), তিনটি থানা, দুটি পৌরসভা, এবং বহু ইউনিয়ন, মৌজা এবং গ্রাম রয়েছে। জনসংখ্যা লক্ষ লক্ষ।

অর্থনীতি:

মেহেরপুর কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানে ধান, গম, পাট, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, আম, কাঁঠাল, কলা প্রভৃতি উৎপাদিত হয়। আমের জন্য এটি বিখ্যাত। তবে শিল্পের বিকাশ এখানে তুলনামূলকভাবে কম। কুটির শিল্পের ঐতিহ্য থাকলেও, তা বর্তমানে বিপন্ন।

শিক্ষা:

মেহেরপুরে সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাক্ষরতার হার বাড়ছে।

সংস্কৃতি:

মেহেরপুরের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে, যা প্রাচীন ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে জড়িত।

উপসংহার:

মেহেরপুর সদর থানা (উপজেলা) ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এর অতীতের ঐতিহ্য ও বর্তমান বাস্তবতার মিশেলে, মেহেরপুরের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মেহেরপুর সদর উপজেলা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক এলাকা।
  • ১৭৯৯ সালে নদীয়া জেলার দুটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
  • ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ফলে বিভক্ত।
  • মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
  • ১৯৮৪ সালে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ।
  • কৃষিপ্রধান অর্থনীতি।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মেহেরপুর সদর থানা

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই থানায় হামলার ঘটনা ঘটে।

২৭/১২/২০২৪

এই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়