মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ ও সম্মানিত কর্মকর্তা।
২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করে ৯ জুন ১৯৯২ সালে তিনি ২৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন লাভ করেন। তার সামরিক কর্মজীবন শুরু হয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৯ম ব্যাটালিয়নে।
তিনি বিভিন্ন দেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে থাইল্যান্ডে স্পেশাল অপস কোর্স, কানাডায় ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন্টিগ্রেটেড মিশন স্টাফ অফিসার্স কোর্স (ইউনিমস্ক) এবং যুক্তরাজ্যে ইন্টারন্যাশনাল জয়েন্ট অপারেশনাল প্লানিং কোর্স উল্লেখযোগ্য। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি, চায়না থেকে মাস্টার্স অব মিলিটারি সাইন্স স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর (এনডিসি) থেকেও গ্র্যাজুয়েশন করেছেন।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ বিভিন্ন রেজিমেন্টাল নিয়োগের পাশাপাশি একটি ডিভিশন সাপোর্ট পদাতিক ব্যাটালিয়ন (১৯ ইস্ট বেঙ্গল) কমান্ড করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর এবং জেনারেল স্টাফ অফিসার থার্ড গ্রেড (জিএসও-৩) ইন ইন্টেলিজেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন অভিযানে তাঁর অবদানের জন্য তিনি ‘সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসা পত্র (অপারেশন)’ এবং ‘সেনা গৌরব পদক (এসজিপি)’ লাভ করেছেন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও তিনি কুয়েত, ইরাক এবং আইভোরিকোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১২ আগস্ট ২০২৪ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
বিবাহিত জীবনে তিনি দুই কন্যা এবং এক পুত্রের পিতা।