মুফতি বশিরুল্লাহ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উপলব্ধ তথ্য অনুসারে, দুটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি এই নামটি ব্যবহার করেন। একজন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আরেকজন নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের সাথে জড়িত ছিলেন।
প্রথম মুফতি বশিরুল্লাহ:
এই মুফতি বশিরুল্লাহ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানীনগরের সিনিয়র মুহাদ্দিস। ৩১ আগস্ট, ২০২৩ সালে তাকে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। হেফাজতের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সিদ্ধান্তে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির পদবিন্যাসের জন্য গঠিত উপকমিটির পরামর্শে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই পদে তার পূর্বসূরী ছিলেন মাওলানা মীর ইদ্রিস এবং মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। মাওলানা মীর ইদ্রিস রহমত নিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দ্বিতীয় মুফতি বশিরুল্লাহ:
দ্বিতীয় মুফতি বশিরুল্লাহ (মুফতি মোহাম্মদ বশিরুল্লাহ) হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে ২০২১ সালের মার্চ মাসে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন এবং তার সম্পৃক্ততার কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পিবিআই-এর তদন্তে উঠে এসেছে তার এই স্বীকারোক্তি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তিনি জবানবন্দিতে ওই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নামও উল্লেখ করেছেন।
উপলব্ধ তথ্য এই দুই মুফতি বশিরুল্লাহ সম্পর্কে সীমিত। আমরা আরও তথ্য পেলে এই লেখাটি আপডেট করব।