মুড়িকাটা পেঁয়াজ: বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল
মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। এটি একটি আগাম জাতের পেঁয়াজ যা দ্রুত ফলন দেয়। এই পেঁয়াজের চাষ প্রধানত ফরিদপুর, রাজবাড়ী এবং পাবনা জেলায় ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
ফরিদপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ: ফরিদপুর জেলায় সারা দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের ১৬-২০% উৎপাদিত হয়। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়। এই পেঁয়াজ রোপণের ৯০ দিনের মধ্যে ফলন তোলা যায়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ফরিদপুরের কৃষকরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তবে, অতিবৃষ্টির কারণে আবাদ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। এই বছর ৫৩০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কামারডাঙ্গী এলাকায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। চাষীদের কাছে উৎপাদন খরচ বেশি, প্রতি বিঘায় ৮০-৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে।
রাজবাড়ীতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ: রাজবাড়ীতেও মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়। সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর আবাদ শুরু হয়। তবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের অতিবৃষ্টির কারণে আবাদ পিছিয়ে গিয়েছিল। এতে ফলন কম হওয়ার এবং দাম কম পাওয়ার আশঙ্কা ছিল। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৫০০০ হেক্টর জমিতে আবাদ এবং ৫০,০০০ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল। রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিঘাপ্রতি ৮০-১০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ ও দরপতন: পাবনা জেলায়ও মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়। ২০২৪ সালে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম পতনের ঘটনা ঘটে। এর ফলে কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। উচ্চ উৎপাদন খরচ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের প্রভাব এই দরপতনের কারণ হিসেবে উল্লেখ্য। পাবনায় ৫২,৮০১ হেক্টর জমিতে ৭৮.২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এর মধ্যে ৮৯৬১ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ।
উৎপাদন খরচ: মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য। বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক খরচ সহ অন্যান্য খরচের কারণে চাষীদের লাভের প্রশ্নে চিন্তা থাকে। বাজারের দাম ও অনুকূল আবহাওয়া এই ফসলের লাভ নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি: মুড়িকাটা পেঁয়াজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করবো।