মুজাহিদুর রহমান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত, এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে:
১. শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন: কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি। তিনি টানা চারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট-ফাইভ থেকে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিসেবে স্টেট সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং জর্জিয়ার প্রথম মুসলিম আইনপ্রণেতা। ১৯৮১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের সরারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নজিবুর রহমানের পুত্র এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের বড় ভাই। বর্তমানে ৬৩ বছর বয়সী চন্দন তার বিজয় ও সাফল্যে জর্জিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তার জন্মস্থানের মানুষদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে দিয়েছেন।
২. মুজাহিদুর রহমান (চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক): চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের একজন বিচারক। এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংক কর্তৃক দায়েরকৃত ঋণ খেলাপি মামলায় তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি এস আলম গ্রুপের দুই কর্ণধারের দুই ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ও ইসলামী ব্যাংক) শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
৩. মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের একজন নেতাকে হুমকি প্রদানের অভিযোগে জড়িত। এই ঘটনার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪. সৈয়দ মোজাহিদুর রহমান: বাগেরহাট জেলার রাজনীতিবিদ ও তৎকালীন খুলনা-১ (বর্তমান বাগেরহাট-১) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।