মুকুল ইসলাম: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
এই নামটি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত। নিচে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো, যাতে বিভ্রান্তি দূর করা যায়।
১. এম আর আখতার মুকুল (১৯৩০-২০০৪): একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, চরমপত্রের পরিচালক, লেখক ও কথক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘চরমপত্র’ পরিচালনার মাধ্যমে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০০১ সালে তিনি স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার পান। তিনি একজন কলামিষ্ট ছিলেন এবং ৩৫টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় ময়মনসিংহে এবং তিনি ভাষা আন্দোলনেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ‘নও বেলাল’, ‘পাকিস্তান টুডে’, ‘আমার দেশ’, ‘সংবাদ’ ও ‘ইত্তেফাক’ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও প্রচার দপ্তরের পরিচালক এবং পরে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস কাউন্সিলর এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৪ সালের ২৬ জুন তিনি মারা যান।
২. মাইদুল ইসলাম প্রধান (মুকুল): একজন শিক্ষাবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তা। ইংরেজি সাহিত্য ও প্রশাসনে তার শক্তিশালী পটভূমি রয়েছে। ইংরেজিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী। বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
৩. এ কে এম মাঈদুল ইসলাম (মুকুল) (১৯৪০-২০১৮): বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুমুখী এবং তিনি বিভিন্ন দলে যুক্ত ছিলেন। তিনি জাতীয়তাবাদী দলের টিকিটে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৮ সালের ১০ই মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
৪. রকিবুল হাসান মুকুল: বনবিদ্যা পেশাজীবীদের সংগঠন ইনস্টিটিউশন অব ফরেস্টারস বাংলাদেশ (আইএফবি) এর সাবেক মহাসচিব। বাংলাদেশ বন বিভাগের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।
৫. মো. মুকুল চকদার: একজন পুলিশ কনস্টেবল যিনি সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযুক্ত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
উপরোক্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে মুকুল ইসলাম নামটির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং তাদের কাজ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।