মাসুদুল হাসান

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

মোঃ মাসুদুল হাসান: একজন প্রশাসক ও কৃষি অর্থনীতিবিদের জীবনী

বাংলাদেশের প্রশাসনিক সেবায় একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন মোঃ মাসুদুল হাসান। ১৯৯৩ সালে তিনি ১১তম বিসিএস (প্রশাসন ক্যাডার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি মূলত একজন কৃষি অর্থনীতিবিদ, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উৎপাদন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ অর্থনীতিতে আরেকটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন, যা তিনি AUSAID বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে সম্পন্ন করেন।

তার কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৩ সালে বরিশালে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে বানারীপাড়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কাজ করেন। চার বছর ধরে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়েও কর্মরত ছিলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম শাখায় প্রথম সচিব হিসেবে ৫ বছর (২০০৭-২০১২) কর্মরত ছিলেন। হাইকমিশন থেকে ফিরে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যার জনক।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯৩ সালে ১১তম বিসিএস (প্রশাসন ক্যাডার) উত্তীর্ণ।
  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর।
  • অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর।
  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত।
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৫ বছর কর্মরত।
  • ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মাসুদুল হাসান

মাসুদুল হাসান ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।