মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থানের সন্ধানে যান। তবে, এই শ্রমবাজার দুর্নীতি, সিন্ডিকেট এবং অনিয়মের দ্বারা ক্ষতবিক্ষত। ১৯৭৮ সালে মাত্র ২৩ জন শ্রমিকের সাথে শুরু হওয়া এই যাত্রা বর্তমানে ১৫ লাখের অধিক বাংলাদেশী শ্রমিকের উপস্থিতি বহন করে। তবে ১৯৯২ সালে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা কারণে, যেমন অবৈধ অভিবাসন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, অদক্ষ শ্রমিক ও কম মজুরি, এই শ্রমবাজার বারবার বন্ধ হয়েছে। ২০০৯, ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর এই বাজার পুনরায় চালু করার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে, সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং সিন্ডিকেট দমনের মাধ্যমে এই সুযোগ সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মডেল, যেমন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি), গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট (জিটুজি) এবং গভর্নমেন্ট প্লাস বিজনেস-টু-বিজনেস (জি-প্লাস-বিটুবি) এবং ফিলিপাইনের সফল নিয়োগ ব্যবস্থা অনুসরণ করা যেতে পারে। আইওএমের আইআরআইএস সার্টিফিকেশন মডেল, ডিজিটাল স্বচ্ছতা প্ল্যাটফর্ম, সরকারনিয়ন্ত্রিত ই-ওয়ালেট, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট দমন এর জন্য অত্যন্ত জরুরী।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:১৮ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার।
- দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের কারণে বারবার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে।
- সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে শ্রমবাজারের সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
- বিভিন্ন কার্যকর মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।