নোয়াখালীতে ছাত্রনেতার উপর হামলা: মামুনুর রশীদ তুষারের অভিযোগ
গত ৪ জানুয়ারি রাতে নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন সমন্বয়কের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় আহত হন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সীমান্ত (২২), নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মামুনুর রশীদ তুষার (২৫) এবং গালিব মাহমুদ (২৫)।
মামুনুর রশীদ তুষারের অভিযোগ, মাইজদীর ফ্ল্যাট রোডে অবৈধ দোকান দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। মধুপুর মাদরাসার সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে তাঁর সহযোদ্ধারা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত তারা সুধারাম মডেল থানার সামনে আশ্রয় নেয়।
ঘটনার পর, মামুনুর রশীদ তুষার মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগের হাতে বন্দী বলে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। এরপর নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সীমান্তসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে যায়। তাদের উপর হামলা চালানো হয় এবং তাদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যার জেনারেল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি জানান, তারা ঘটনার পর দুইজনকে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। মামলা দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে। ঘটনার তদন্ত এবং সঠিক বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এই হামলার পেছনে কাদের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে স্পষ্ট নয়। আরও তথ্য প্রকাশিত হলে এই প্রতিবেদন আপডেট করা হবে।