মানসম্মত চলচ্চিত্রের অভাব

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগত আজ এক গভীর সংকটের মুখোমুখি। মানসম্মত চলচ্চিত্রের অভাব এই সংকটের প্রধান কারণ। একসময় ১২৩৫ টির বেশি সিনেমা হল থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৬৫ টিতে নেমে এসেছে, আর সেগুলোও সব কটি চলছে না। ১৯৯৪ সালে আকাশ সংস্কৃতির আগমনের পর থেকেই দর্শক সংখ্যা কমতে শুরু করে এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানান, ভালো সিনেমার অভাবে তিনি ২৮ নভেম্বর থেকে হলটি বন্ধ রেখেছেন। তিনি মনে করেন, স্ক্রিপ্ট রাইটারদের অবহেলা এবং যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ বন্ধ হওয়া এই অবস্থার জন্য দায়ী। শুধুমাত্র শাকিব খানের ছবির উপর নির্ভরশীলতাও একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন জানান, চলচ্চিত্রের প্রতি প্রেমের অভাব এবং পূর্ব প্রজন্মের হল মালিকদের অনুপস্থিতি এই সংকটের জন্য দায়ী। তিনি উল্লেখ করেন, একসময়ের বৃহৎ সিনেমা হল ‘ডায়না’ সহ অনেক হলই বর্তমানে নেই। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, সরকারের চলচ্চিত্রের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গীতেও পরিবর্তন এসেছে। একসময় প্রমোদ কর থাকলেও এখন ১৫% ভ্যাট দিতে হয়। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র মতো সুপারহিট ছবির পর নতুন নতুন হল তৈরি হলেও, মানসম্মত ছবির অভাবে সেই উত্থান স্থায়ী হয়নি। ফলে চলচ্চিত্র শিল্পে নিয়োজিত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে এবং সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মানসম্মত চলচ্চিত্রের অভাব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের পতনের প্রধান কারণ।
  • সিনেমা হলের সংখ্যা কমে ৬৫ তে নেমে এসেছে।
  • ভালো স্ক্রিপ্টের অভাব এবং যৌথ প্রযোজনার অভাব সংকটের কারণ।
  • সরকারের রাজস্ব লোকসান এবং ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হ্রাস।

গণমাধ্যমে - মানসম্মত চলচ্চিত্রের অভাব

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মানসম্মত চলচ্চিত্রের অভাবের কারণে চলচ্চিত্র শিল্পে সংকট দেখা দিয়েছে।