মাধুরী দীক্ষিত নেনে (জন্ম: ১৫ মে, ১৯৬৭) একজন বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক সম্মানিত অভিনেত্রীদের একজন। তার অভিনয় জীবনে ৭০ টিরও বেশি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯০-এর দশক এবং ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন এবং সাতবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার ১০০ তারকা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নৃত্য এবং সৌন্দর্যচর্চায়ও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০৮ সালে তাকে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
মাধুরী ১৯৮৪ সালে 'অবোধ' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। কয়েকটি ব্যবসায়িক ভাবে ব্যর্থ ছবির পর ১৯৮৮ সালে 'তেজাব' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৯০-এর দশক জুড়ে তিনি বলিউডের শীর্ষ নারী অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। 'দিল' (১৯৯০), 'বেটা' (১৯৯২), 'হাম আপকে হ্যাঁ কৌন..!' (১৯৯৪) এবং 'দিল তো পাগল হ্যায়' (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি চারবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও 'রাম লক্ষণ', 'ত্রিদেব', 'থানেদার', 'কিশেন কানাইয়া', 'সাজন', 'খলনায়ক', এবং 'রাজা' চলচ্চিত্রে তার অভিনয় বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায়।
তিনি 'পরিন্দা', 'প্রেম প্রতিজ্ঞা', এবং 'দেবদাস' চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং 'প্রহার', 'আঞ্জাম', 'মৃত্যুদণ্ড', 'পুকার', এবং 'লজ্জা' চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন। ২০০২ সাল থেকে কয়েক বছর চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকার পর ২০০৭ সালে 'আজা নাচলে' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পর্দায় ফিরে আসেন এবং পরবর্তী সময়ে 'ডেঢ় ইশকিয়া', 'গুলাব গ্যাং', 'টোটাল ধামাল' এবং 'বাকেট লিস্ট' (প্রথম মারাঠি চলচ্চিত্র) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
মাধুরী দীক্ষিত গণমাধ্যমে প্রায়শই আলোচিত। তিনি মানবিক কাজেও জড়িত। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে শিশুদের অধিকার এবং শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে কাজ করছেন এবং ভারত সরকারের