আমির খান

আমির খান: পারফেকশনিস্টের অসাধারণ জীবনযাত্রা

আমির খান, ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অমিত্রিয় নক্ষত্র। ১৪ মার্চ ১৯৬৫ সালে মুম্বইয়ের বান্দ্রা হলি ফ্যামিলী হাসপাতালে মোহাম্মদ আমির হোসেন খান নামে জন্মগ্রহণকারী এই অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে একাধারে সাফল্য অর্জন করেছেন। তার 'মিঃ পারফেকশনিস্ট' উপাধিটি তার কাজের প্রতি অদম্য নিষ্ঠার পরিচায়ক।

তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয় চাচা নাসির হুসেনের 'ইয়াদোঁ কি বারাত' (১৯৭৩) ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। তবে পেশাদার অভিনয় জীবন শুরু হয় 'হোলি' (১৯৮৪) ছবির মাধ্যমে। 'কেয়ামত সে কেয়ামাত তক' (১৯৮৮) ছবির মাধ্যমে তিনি বাণিজ্যিক সাফল্য পান এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নবাগত পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে 'রাজা হিন্দুস্তানী' (১৯৯৬) এবং 'লগান' (২০০১) ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরষ্কারে ভূষিত হন। 'দঙ্গল' (২০১৬) ছবির জন্যও তিনি একই পুরস্কার অর্জন করেন। 'তাঁরে জমিন পার' (২০০৭) ছবি পরিচালনার মাধ্যমে তিনি নিজেকে পরিচালক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেন।

আমির খান প্রযোজনার 'লগান', 'তাঁরে জমিন পার', '৩ ইডিয়টস', 'পিকে', এবং 'দঙ্গল' এর মতো ছবি বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। '৩ ইডিয়টস' এবং 'দঙ্গল' চীনের বাজারেও অভূতপূর্ব সাফল্য পায়, আমিরকে চীনে অসাধারণ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তিনি ২০০৩ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১০ সালে পদ্মভূষণ পদক লাভ করেন। টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়। তার 'সত্যমেব জয়তে' নামক টক শোটি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আমির খান একজন মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও, তিনি সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে দুটি বিবাহ এবং তিনটি সন্তান আছে। তার প্রতিটি কাজেই তিনি নিখুঁততার প্রমাণ দিয়েছেন, যা তাকে 'মিঃ পারফেকশনিস্ট' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আমির খানের জন্ম ১৪ মার্চ ১৯৬৫
  • চলচ্চিত্রে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক হিসেবে সাফল্য
  • 'কেয়ামত সে কেয়ামাত তক', 'লগান', '৩ ইডিয়টস', 'দঙ্গল' - বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য
  • পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত
  • 'সত্যমেব জয়তে' টকশোর মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা