মহাখালী: ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা
ঢাকা শহরের মহাখালী এলাকাটি এর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান, বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল, এবং ব্যস্ততার জন্য সুপরিচিত। বনানী ও তেজগাঁও শিল্প এলাকার উত্তরে, গুলশান ও নিকেতনের পূর্বে, এবং ঢাকা সেনানিবাস, টিএন্ডটি কলেজ ও টিএন্ডটি স্যাটেলাইট অফিস বস্তির পশ্চিমে অবস্থিত এলাকাটি ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক তথ্য:
মহাখালীর সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক তথ্য বর্তমানে সীমিত। তবে, নগরায়নের সাথে সাথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে উন্নত হয়েছে। ২৩°৪৬′৪৬″ উত্তর ৯০°২৪′১৭″ পূর্ব / ২৩.৭৭৯৫° উত্তর ৯০.৪০৪৬° পূর্ব / 23.7795; 90.4046 এ অবস্থিত এলাকাটি উত্তরে বনানী, দক্ষিণে মগবাজার, এবং পূর্বে গুলশান ও নিকেতনকে সংলগ্ন।
প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল:
মহাখালীতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল:
- ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিস (ডিজিএইচএস), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- বন ভবন
- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
- জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
- বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ (বিসিপিএস)
- ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি
- ব্র্যাক সেন্টার
- আইসিডিডিআর, বি
- সরকারি তিতুমীর কলেজ
মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বাস পরিষেবা প্রদান করে। মহাখালী ফ্লাইওভার বাংলাদেশের প্রথম উড়ালসড়ক, যার নির্মাণ শুরু হয় ২০০১ সালে এবং ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড:
মহাখালীর অর্থনীতি মূলত শহরকেন্দ্রিক। মহাখালী কাঁচা বাজার, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত, একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এখানে দ্বিতল আধুনিক ভবন নির্মাণ করে।
অন্যান্য তথ্য:
মহাখালীতে নগরায়নের সাথে সাথে বস্তিও গড়ে উঠেছে। করাইল ও সাততলা বস্তি মহাখালীর নিকটেই অবস্থিত। অতিরিক্ত তথ্য পাওয়া গেলে, এই নিবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ করা হবে।