ভোটাধিকার: গণতন্ত্রের মূলস্তম্ভ
ভোটাধিকার, অর্থাৎ রাজনৈতিক অধিকার, গণতন্ত্রের এক অপরিহার্য উপাদান। এটি জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন এবং গণভোটে অংশগ্রহণের অধিকারকে নির্দেশ করে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই অধিকার সর্বদা সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য ছিল না। লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, সম্পদ, শিক্ষা, বয়স - এসবের উপর ভিত্তি করে ভোটাধিকারের সীমাবদ্ধতা ছিল।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
- প্রাচীন এথেন্সে শুধুমাত্র জমির মালিক পুরুষ নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল।
- ১৭৫৫-১৭৬৯ সালের কর্সিকান প্রজাতন্ত্র ছিল প্রথম দেশ যা ২৫ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে সীমিতভাবে সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রদান করেছিল।
- ১৮৪০-১৮৫২ সালে হাওয়াই ছিল লিঙ্গ নির্বিশেষে সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র।
- ১৮৯৩ সালে নিউজিল্যান্ড প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ভোটাধিকার দান করে।
- নারী ভোটাধিকার আন্দোলন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন রাষ্ট্র ধাপে ধাপে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান করে।
- ভারতে ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সার্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সার্বজনীন ভোটাধিকারের পথে বাধা:
ভোটাধিকারের পথে বিভিন্ন বাধা ছিল:
- সম্পত্তি-ভিত্তিক ভোটাধিকার:
- ধর্মীয় ভেদাভেদ:
- জাতিগত বৈষম্য:
- লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য:
- বয়স নির্ধারণ:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা:
- অপরাধীদের উপর সীমাবদ্ধতা:
- নাগরিকত্বের শর্ত:
- আবাসিক শর্ত:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও ভোটাধিকারের বিষয়ে অসমতা বিরাজ করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং নারীর রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন সার্বজনীন ভোটাধিকারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, বাস্তবে সার্বজনীন ভোটাধিকার অর্জনের জন্য এখনও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার প্রয়োজন আছে।