ভাইরাল জ্বর

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৭ এএম

ভাইরাল জ্বর: একটি সারসংক্ষেপ

ভাইরাল জ্বর হলো বিভিন্ন ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট জ্বরের একটি সাধারণ শব্দ। এটি ঋতু পরিবর্তনের সময়, বিশেষ করে বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়। শিশু, বয়স্ক, এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। জ্বরের তীব্রতা ভাইরাসের ধরণ এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।

লক্ষণ: সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ৩৭.১°C (৯৮.৪°F) এর উপরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি। কিছু ক্ষেত্রে বমিভাব ও ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া জাতীয় জ্বর ভাইরাল জ্বরের অন্তর্ভুক্ত হলেও, এদের লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন।

কারণ: বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ ভাইরাল জ্বরের মূল কারণ। এটি হাঁচি, কাশি, বা সংক্রমিত ব্যক্তি বা পৃষ্ঠের সাথে স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।

চিকিৎসা: ভাইরাল জ্বরের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা সাধারণত লক্ষণগত উপশমের উপর নির্ভর করে। যেমন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা, জ্বর কমানোর ঔষধ (প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন) সেবন। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ভাইরাল জ্বরের চিকিৎসায় কার্যকর নয়।

প্রতিরোধ: ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

কখন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন: জ্বর ৩-৫ দিনের বেশি স্থায়ী হলে, শ্বাসকষ্ট, গুরুতর মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ভাইরাল জ্বর হলো বিভিন্ন ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট জ্বর।
  • এটি বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়।
  • লক্ষণ: জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, কাশি, পেশী ব্যথা।
  • চিকিৎসা: বিশ্রাম, তরল, জ্বর কমানোর ঔষধ।
  • প্রতিরোধ: হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যবিধি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ভাইরাল জ্বর

৪ জানুয়ারী ২০২৫

ভাইরাল জ্বর একটি সংক্রামক রোগ।