বেসিক ব্যাংক পিএলসি (বেসিক ব্যাংক লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠিত, পূর্বে বাংলাদেশ স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড নামে পরিচিত) বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২ আগস্ট ১৯৮৮ সালে ১৯১৩ সালের কোম্পানি আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২১ জানুয়ারী ১৯৮৯ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিকভাবে বিসিসি ফাউন্ডেশনের ৭০% এবং বাংলাদেশ সরকারের ৩০% শেয়ারের মালিকানায় এর যাত্রা শুরু হলেও, ১৯৯২ সালে বিসিসিআই ফাউন্ডেশন অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকটির ১০০% মালিকানা গ্রহণ করে। তবে ব্যাংকটি জাতীয়করণ হয়নি এবং সরকারি মালিকানাধীন বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
বেসিক ব্যাংকের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বেসরকারি খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে অর্থায়ন করা। ব্যাংকটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধি অনুসারে, ব্যাংকের ঋণদানযোগ্য তহবিলের অন্তত ৫০% ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাংকের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের মেয়াদি ঋণ প্রদান, আমানত গ্রহণ, চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব ব্যবস্থাপনা, ট্রেড ফাইন্যান্স, শিল্প অর্থায়ন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়তা, কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং এনজিওদের মাধ্যমে নগর দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান।
২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটি অনলাইন ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করেছে এবং এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেল (POS) সেবা প্রদান করে। পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পগুলিকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ব্যাংকটির পরিচালনা একটি ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যাদের মনোনয়ন সরকার দিয়ে থাকে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত। মার্চ ২০২১-এর হিসাবে, ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫৫,০০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০,৮৪৭ মিলিয়ন টাকা। ব্যাংকটির ৭০টির অধিক শাখা রয়েছে। বেসিক ব্যাংক সম্প্রতি বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কারণে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর আলোচনার মুখে পড়েছে।