বাংলাদেশের যশোর জেলার শার্শা উপজেলা এবং এর অন্তর্গত বেনাপোল পৌরশহর দেশের অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শার্শা উপজেলা প্রায় ২২.৫৪ ডিগ্রি ও ২৩.১৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৫১ ডিগ্রি ও ৮৯.০১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। উত্তরে চৌগাছা, দক্ষিণে সাতক্ষীরার কলারোয়া, পূর্বে ঝিকরগাছা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাথে এর সীমান্ত রয়েছে। শার্শার নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানা যায় না, তবে জনশ্রুতি অনুসারে, শার্শা মৌজার নাম অনুসারেই উপজেলার নামকরণ হয়েছে। এই উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা রয়েছে; মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩,০৯,৬৩৩ জন।
বেনাপোল শার্শা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরশহর এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এখানে অবস্থিত। বেনাপোল স্থলবন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, ভারতের সাথে স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজ এখানকার শুল্ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। বেনাপোল রেলস্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার রেল চলাচল হয়। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলমান রয়েছে, যার মধ্যে একটি বৃহৎ ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।
শার্শা ও বেনাপোলের অর্থনীতি মূলত কৃষি, বাণিজ্য, এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের উপর নির্ভরশীল। এখানে জুট মিল এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। উল্লেখযোগ্য historical event হিসেবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বেনাপোল সীমান্তে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই ও বেনাপোলের মুক্তি উল্লেখযোগ্য। তবে, খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া একটা উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে পরে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।