বেতার ভবন

বাংলাদেশ বেতারের ইতিহাস, কার্যক্রম এবং ভবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:

১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ‘ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র’ নামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বেতার। এটি ছিল বাংলাদেশে রেডিও সম্প্রচারের সূচনা। প্রথমে একটি ভাড়া করা বাড়িতে (বর্তমান শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজ) কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬০ সালে শাহবাগে একটি নতুন সম্প্রচার ভবন নির্মিত হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করে এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলা বেতার হিসেবে যুদ্ধের সময় সক্রিয় থাকে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচারের ক্ষেত্রেও বেতার ভবনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ৮ মার্চ বেতার কর্মীরা এই ভবন থেকে ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রচার করেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এটি রেডিও বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে জাতীয় বেতার ভবন অবস্থিত। এখান থেকে ঢাকা কেন্দ্রের ক, খ, গ চ্যানেল এবং এফএমের অনুষ্ঠানসহ ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিদেশী ভাষায় অনুষ্ঠান তৈরি এবং বিবিসি, ডয়চে ভেলে, রেডিও চায়না ও এনএইচকে-এর অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সাথে সংযোগ রক্ষা করে বাংলাদেশ বেতার।

শাহবাগের পুরাতন বেতার ভবনটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করে রেখেছে। এই ভবনটি মুক্তিযুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভবন থেকে জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম সরাসরি ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এটি বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের ঢাকা কেন্দ্র হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৩৯ সালে ‘ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র’ নামে যাত্রা শুরু।
  • ১৯৬০ সালে শাহবাগে নির্মিত সম্প্রচার ভবন।
  • ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
  • বর্তমানে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় বেতার ভবন অবস্থিত।
  • ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা।

গণমাধ্যমে - বেতার ভবন

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এই স্থানে বেতার ভবনের সামনে কলমবিরতি অনুষ্ঠিত হয়।

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বেতার ভবনের সামনেও কলমবিরতির কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।