বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ি

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:১২ এএম

বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ি: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অধীনে একটি নির্দিষ্ট পুলিশ ফাঁড়ি। ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ফাঁড়ির ভেতরেই যুবদলের দুই নেতার দ্বারা এক কৃষক ও তার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জসীম উদ্দিন ও তার ছেলে রোকাম হোসেন আহত হন। অভিযুক্তরা হলেন বুড়িরচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রুবেল উদ্দিন রনি এবং একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ কামাল।

ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জসীম উদ্দিনের বর্গাচাষি মোস্তফাকে ধান চাষে বাধা দিয়ে আসছিলেন এই দুই যুবদল নেতা। তারা জমি ও ফসল দখল করার চেষ্টা করছিলেন। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে ডাকা হয় জসীম ও তার ছেলেকে। পরে সেখানেই তাদের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রভাত প্রভাকরের সামনেই এই ঘটনা ঘটে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতা প্রকাশ করে।

রুবেল উদ্দিন রনি কালবেলাকে জানান, জমির বিরোধের বিষয়টি থানায় মীমাংসা করতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তিনি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রভাকরের বক্তব্য অনুযায়ী, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং রুবেল উদ্দিন রনি তৃতীয় পক্ষ হয়ে হামলা করে।

এই ঘটনা বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার উপর প্রশ্ন তুলে ধরে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।

মূল তথ্যাবলী:

  • নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে যুবদল নেতাদের হামলা
  • কৃষক জসীম উদ্দিন ও তার ছেলে রোকাম হোসেন আহত
  • জমির বিরোধের জের ধরে ঘটনা
  • অভিযুক্ত: যুবদল নেতা রুবেল উদ্দিন রনি ও সাহেদ কামাল
  • পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের উপস্থিতিতে ঘটনা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ি

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বুড়িরচর সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে যুবদল নেতারা কৃষককে পিটিয়েছেন।