বুরুন্ডি

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৪৫ এএম
নামান্তরে:
Burundi
Republic of Burundi
ISO 3166-1:BI
বুরুন্ডি

বুরুন্ডি: পূর্ব আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যা রুয়ান্ডা, তানজানিয়া এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে অবস্থিত। ষোড়শ শতাব্দীতে এটি একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে উদ্ভূত হয়। ১৮৮৫ সালে এটি জার্মান পূর্ব আফ্রিকার অংশ হয়ে ওঠে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, বেলজিয়ামের অধীনে রুয়ান্ডা-উরুন্ডির ম্যান্ডেট টেরিটরি হিসেবে পরিচালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘের ট্রাস্ট টেরিটরিতে পরিণত হয় এবং ১৯৬২ সালে বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। বর্তমানে গিতেগা এর রাজনৈতিক রাজধানী এবং বুজুম্বুরা অর্থনৈতিক রাজধানী। বুরুন্ডি তিনটি প্রধান জাতিগোষ্ঠী- তুতসি, হুতু এবং ত্বোয়া-এর বসতিস্থল। দেশটি কৃষিকাজ নির্ভর অর্থনীতি, দারিদ্র্য এবং জাতিগত দ্বন্দ্বের ইতিহাসে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে বহু গৃহযুদ্ধ এবং গণহত্যা বুরুন্ডির ইতিহাসের এক অন্ধকার অংশ। বুরুন্ডি তাদের জাতীয় ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে বিখ্যাত, যার মধ্যে রয়েছে রাজকীয় ড্রামাররা।

বুরুন্ডির ভৌগোলিক অবস্থান : দেশটি পূর্ব আফ্রিকার আলবার্টিন রিফ্টে অবস্থিত। উচ্চভূমি অঞ্চল এবং পাহাড়ি ভূখণ্ড বিরাজমান। তাঙ্গানিকা হ্রদ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত। নীল নদের উৎস বুরুরি প্রদেশে।

জনসংখ্যা ও জাতিগত গঠন: বুরুন্ডির জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ। হুতু জনগোষ্ঠী অধিকাংশ (৮৫%), তুতসি ১৫% এবং ত্বোয়া ১% এর কম। কিরুন্ডি, ফরাসি এবং ইংরেজি দেশের সরকারী ভাষা।

অর্থনৈতিক কার্যকলাপ: বুরুন্ডি একটি কৃষি-প্রধান অর্থনীতি, যেখানে কফি এবং চা প্রধান রপ্তানি পণ্য। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ।

ঐতিহাসিক ঘটনা: জার্মান ও বেলজিয়ামের ঔপনিবেশিক শাসন; ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা; বহু জাতিগত দ্বন্দ্ব; ১৯৭২ এবং ১৯৯৩ সালের গণহত্যা; ২০০০ সালের আরুশা চুক্তি।

উল্লেখযোগ্য স্থান: গিতেগা (রাজধানী), বুজুম্বুরা (অর্থনৈতিক রাজধানী), তাঙ্গানিকা হ্রদ, কিবিরা জাতীয় উদ্যান, রুভুবু জাতীয় উদ্যান।

অন্যান্য তথ্য: মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ছেড়ে যাওয়া।

মূল তথ্যাবলী:

  • বুরুন্ডি পূর্ব আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ।
  • এটি ষোড়শ শতাব্দীতে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে উদ্ভূত হয়েছিল।
  • জার্মান ও বেলজিয়ামের ঔপনিবেশিক শাসন অতিক্রম করে ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
  • তুতসি, হুতু ও ত্বোয়া জাতিগোষ্ঠীর বসতিস্থল।
  • কৃষিকাজ নির্ভর অর্থনীতি ও দারিদ্র্যের ইতিহাস।
  • জাতিগত দ্বন্দ্ব এবং গণহত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।