বিদ্যুৎস্পর্শজনিত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও আঘাতের ঘটনা দেশে বেশিরভাগ সময়ই ঘটে থাকে। এই প্রতিবেদনে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার বিবরণ দেওয়া হলো।
ঘটনা ১: আজমিরীগঞ্জে, শিবপাশা ইউনিয়নের যশকেশরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ২৩ আগস্ট ২০২৩ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাছলিমা আক্তার (৪) নামের এক শিশু বিদ্যালয়ের আর্থিং রডে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। শিশুটি খেলার সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিদ্যালয়টিতে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে।
ঘটনা ২: ঝিনাইদহের শৈলকুপায়, মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুখালি গ্রামে, ২৩ জুন ২০২৩ রোববার দুপুরে বিদ্যুৎ চালু থাকা অবস্থায় ট্রান্সফরমার মেরামত করতে গিয়ে আব্দুল খালেক নামে পল্লী বিদ্যুতের এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয় এবং সোহেল রানা নামে আরেক লাইনম্যান আহত হয়। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ না থাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ঘটনা ৩: সোনারগাঁওয়ের পৌর এলাকার কৃষ্ণপুরা গ্রামে, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রোববার সকালে, অর্পণ চক্রবর্তী (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন তাদের ঘরের চালের উপর দিয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। অর্পণ তার ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়।
ঘটনা ৪: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর গ্রামে ৯ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার দুপুরে, আশিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি লরি থেকে ক্রেনের সাহায্যে বিদ্যুতের খুঁটি নামানোর সময় খুঁটিটি বৈদ্যুতিক তারের লেগে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যান।
ঘটনা ৫: বান্দরবানের লামায়, সরই ইউনিয়নের হাসনাপাড়া এলাকায়, ২৯ মে ২০২৩ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খোরশেদ আলম (২০) নামে এক প্রতিবন্ধী বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যুবরণ করেন এবং একই পরিবারের আরো ৩ জন আহত হন। ঝড় বাতাসে একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে জমিতে পড়ে ছিলো এবং এই দুর্ঘটনার কারণে এ ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য, এগুলো কেবলমাত্র উদাহরণ। বিদ্যুৎস্পর্শজনিত দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক বেশি এবং এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। সুরক্ষাবিধি পালন ও সচেতনতা বৃদ্ধি এর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যু ও আঘাতের ঘটনা
বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ; মৃত্যু ও আঘাতের সংখ্যা; ঘটনার কারণসমূহ।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পল্লী বিদ্যুৎ
তাছলিমা আক্তার, মো. সেলিম চৌধুরী, মো. নুরুল হক, মো. মুজিবর রহমান, মো. গোলাম মোস্তফা, আব্দুল খালেক, সোহেল রানা, মিজানুর রহমান, ওমর আলী, সফিকুল ইসলাম চৌধুরী, অর্পণ চক্রবর্তী, কুমকুম চক্রবর্তী, খোরশেদ আলম, নুরুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহিম, মিজানুর রহমান, আশিক মিয়া, মামুন, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
আজমিরীগঞ্জ, শিবপাশা ইউনিয়ন, যশকেশরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ, শৈলকুপা, মির্জাপুর ইউনিয়ন, সাধুখালি গ্রাম, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, সোনারগাঁও, কৃষ্ণপুরা গ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুলতানপুর গ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, বান্দরবান, লামা, সরই ইউনিয়ন, হাসনাপাড়া এলাকা, পদুয়া সরকারি হাসপাতাল
বিদ্যুৎস্পর্শ, দুর্ঘটনা, প্রাণহানি, আঘাত, শিশু, লাইনম্যান, পল্লী বিদ্যুৎ, সুরক্ষা, সচেতনতা