সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে 'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৪' নামে একটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, গত ১৫ বছরে উচ্চ আদালত মানবাধিকার হরণ ও মানুষকে নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিচারক নিয়োগে অনিয়মের ফলে অযোগ্য ব্যক্তিও উচ্চ আদালতে বিচারক পদে নিয়োগ পেয়েছেন। অধ্যাদেশের খসড়ায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব রয়েছে, যা হাইকোর্ট, আপিল বিভাগ ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। এই কাউন্সিলে প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের দুইজন প্রবীণ বিচারপতি, একজন অবসরপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং একজন আইন অধ্যাপক থাকবেন। অধ্যাদেশের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামীম হাসনাইন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন। তারা বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের জন্য নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছে।
- অধ্যাদেশটি বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হচ্ছে।
- এতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।
- বিচারক নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
- অযোগ্য বিচারকদের নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ
এই অধ্যাদেশ বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আইন উপদেষ্টা নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।