জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি): বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চালিকাশক্তি
১৯৭৬ সালে জনশক্তি উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতায় কাজ করে। এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিএমইটির প্রধান কাজ হল দেশের জনগোষ্ঠীকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা।
বিএমইটির কার্যক্রম:
- বিদেশে কর্মসংস্থানের চাহিদা মূল্যায়ন ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
- বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য অভিবাসন ক্লিয়ারেন্স প্রদান।
- বেসরকারি নিয়োগ সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান।
- স্বনিয়োগ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
- শ্রম বাজারের তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ।
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের কল্যাণের দেখভাল।
- বিভিন্ন কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান (যেমন ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি - আইএমটি)।
বিএমইটির অবদান:
বিএমইটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। কোটি কোটি বাংলাদেশী কর্মীকে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে আনা হচ্ছে। এছাড়াও বিএমইটি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশের জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে অবদান রাখছে।
সংস্থার প্রধান ব্যক্তিবর্গ:
বিএমইটিতে নিয়োজিত প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্য বিস্তারিতভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
স্থান:
বিএমইটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। তবে এর বিভিন্ন জেলায় শাখা অফিস রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বিএমইটি ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- বর্তমানে ৬৪ টি জেলায় জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস রয়েছে।
- বিএমইটি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) এবং অন্যান্য ৭০ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে।
বিএমইটির ভবিষ্যৎ:
বিএমইটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিশ্বায়নের এই যুগে বৈদেশিক কর্মসংস্থান আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বিএমইটি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিএমইটি আরো উন্নত সেবা প্রদান করতে পারে।