সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি দুবাইতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কর্মরত ছিলেন এবং তার দায়িত্বকালে কিছু ঘটনা ঘটেছে যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রবাসীদের বিক্ষোভ: ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, আরব আমিরাত থেকে জেল খেটে ফিরে আসা কিছু প্রবাসী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সামনে বিক্ষোভ করে বি এম জামাল হোসেনের গ্রেফতার দাবি করে। তাদের অভিযোগ, আমিরাতে তৎকালীন কনসাল জেনারেল হিসেবে বি এম জামাল হোসেন তাদেরকে জঙ্গি বানানোর চেষ্টা করেছেন এবং আমিরাত সরকারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছেন। এতে তারা বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। প্রবাসীরা অভিযোগ করেন যে, বি এম জামাল হোসেন আওয়ামী লীগের লোকজনের সহায়তায় হাজার খানেক ভিসা বিক্রি করেছেন এবং রিমান্ডে নিয়ে দেশে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগও করেন।
জাতীয় প্রবাসী দিবস: ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩’ উদযাপন করে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন প্রবাসীদের সম্মান প্রদর্শন করে বলে উল্লেখ্য। তিনি প্রবাসীদের মর্যাদা রক্ষা ও দেশের উন্নয়নে তাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন: ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ঘটনার সাথে বি এম জামাল হোসেনের নাম জড়িত হয়। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ৫৭ বাংলাদেশি বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পেয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমিরাতে বাংলাদেশি ভিসা আবেদনের প্রায় ৯৫ শতাংশ প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।
বি এম জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাঁর বয়স, জাতিগত পরিচয়, ধর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।