বাংলো শব্দটির উৎপত্তি ইংরেজি "বাংলো" শব্দ থেকে। এটি "বাঙ্গালি" শব্দের অপভ্রংশ এবং বিকৃত অর্থে "বাংলা শৈলীর বাড়ি" বোঝায়। প্রাথমিকভাবে এটি ছোট, একতলা, নিরিবিলি, প্রশস্ত উঠানসমৃদ্ধ বাড়ি নির্দেশ করত। ব্রিটিশরা গ্রীষ্মকালে হিমালয় থেকে ফেরার পথে এবং ভারতীয় শহরের বাইরে প্রাদেশিক প্রশাসকের বাড়ি হিসেবে এ ধরনের বাড়ি ব্যবহার করত। গ্রামীণ বাংলাদেশে বাংলো ধরণের ঘর এখনও জনপ্রিয়। ঐতিহ্যগতভাবে কাঠ, বাঁশ ও খড় ব্যবহার করা হলেও আধুনিক সময়ে খাঁজকাটা ইস্পাতের পাত ব্যবহার করা হয়। খড়ের ছাদ গ্রীষ্মকালে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করত। লাল ইটও ছাদ আবরণ হিসেবে ব্যবহার করা হত। ব্রিটিশ আমলে ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর উন্নয়নে ভারতীয়, ইউরোপীয় ও মধ্য এশীয় (ইসলামী) উপাদানের মিশ্রণ দেখা যায়। ঢাকার আহসান মঞ্জিল এবং রংপুরের তাজহাট রাজবাড়ি এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। আধুনিককালে স্থাপত্য উপকরণ, শিল্প ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বাংলোর নকশা ও নির্মাণে বৈচিত্র্য এসেছে। তবে, একতলা, প্রশস্ত উঠান ও বারান্দার মৌলিক বৈশিষ্ট্য বর্তমানেও অনেক বাংলোতেই বিদ্যমান।
বাংলো
আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২:০১ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- বাংলো শব্দটির উৎপত্তি ইংরেজি "বাংলো" থেকে।
- এটি "বাঙ্গালি" শব্দের অপভ্রংশ।
- ঐতিহ্যগতভাবে ছোট, একতলা, নিরিবিলি, প্রশস্ত উঠানসমৃদ্ধ বাড়ি।
- গ্রামীণ বাংলাদেশে এখনও জনপ্রিয়।
- আধুনিককালে নকশা ও নির্মাণে বৈচিত্র্য এসেছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।