বাংলাদেশ সচিবালয়

বাংলাদেশ সচিবালয়: বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু

বাংলাদেশ সচিবালয় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্র। ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত এই সচিবালয়টি দেশের সকল নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৪৭ সালে নির্মিত, এটি প্রাথমিকভাবে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের সচিবালয় হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৭১ সালের পর থেকে এটি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান প্রশাসনিক সদর দপ্তর হিসেবে কার্যকরী।

সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস:

  • ১৯৪৭: সচিবালয়ের নির্মাণ শুরু।
  • ১৯৭১: পূর্ব পাকিস্তানের সচিবালয় হিসেবে কাজ শেষ করে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে আসে।
  • ২০০৯: দ্য ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে লবিস্টদের হস্তক্ষেপের বিষয়টি।
  • ২০১৫: আইসিটি বিভাগ সচিবালয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই চালু করে।
  • ২০১৭: সচিবালয়কে ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হয়।
  • ২০২০: কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সচিবালয়ের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হয়।

স্থাপত্য ও পরিকল্পনা:

সচিবালয় বহু ভবন নিয়ে গঠিত একটি বিশাল প্রশাসনিক কেন্দ্র। সরকার বহু বছর ধরে শের-ই-বাংলা নগরে একটি নতুন, আধুনিক সচিবালয় নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এই নতুন ভবনটি জাতীয় সংসদ ভবনের নকশার অনুরূপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঘটনা ও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:

সচিবালয়ের ইতিহাসে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও ব্যক্তিবর্গের নাম উঠে আসে। প্রোথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর সচিবালয়ে হামলার ঘটনা, মোহাম্মদ নাসিমের লিফটে আটকে পড়ার ঘটনা ইত্যাদি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

শের-ই-বাংলা নগরে নতুন সচিবালয় নির্মাণের মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজের আরও সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সচিবালয় বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিচালনা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্র ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত
  • ১৯৪৭ সালে নির্মিত, পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সচিবালয় হিসেবে কাজ শুরু
  • সকল নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা
  • শের-ই-বাংলা নগরে নতুন সচিবালয় নির্মাণের পরিকল্পনা
  • বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও ব্যক্তিবর্গের সাথে যুক্ত