বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত এই দলের ইতিহাস রয়েছে জটিল ও বহুমুখী। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তাদের বৈরিতা ছিল। ১৯৭৪ সালে তারা আন্দোলন শুরু করে, যা হরতাল এবং পল্টন ময়দানের জনসভায় পরিণত হয়। এই আন্দোলনের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বহু জাসদ কর্মী নিহত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর জাসদ খন্দকার মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থানের পর ৭ নভেম্বর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহী-জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়, যার সাথে জাসদের গণবাহিনী জড়িত ছিল। পরবর্তীতে আবু তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালে জাসদ ভাঙনের মধ্য দিয়ে যায় এবং জাসদ (ইনু) এবং বাসদ (মাহাবুব) এর উত্থান ঘটে। ১৯৯৭ সালে জাসদ (রব), জাসদ (ইনু) এবং বাসদ (মাহাবুব)এর একাংশ ঐক্যবদ্ধ হয়। ২০০৪ সাল থেকে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদ ১৪ দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পরে মহাজোটের শরিক হয়। ২০২০ সালে হাসানুল হক ইনু জাসদের সভাপতি এবং শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালের জাতীয় সম্মেলনে দলটি আবার ভাঙন দেখে। জাসদ নিয়ে বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। জাসদের ইতিহাসে ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান, গণবাহিনী, এবং কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জাসদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ জাসদ
আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৩২ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রতিষ্ঠা
- আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা
- ১৯৭৪ সালের আন্দোলন এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষ
- ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক অবস্থান
- ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব এবং গণবাহিনীর ভূমিকা
- ১৯৮০ সালের দল ভাঙন এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর উত্থান
- ১৪ দল ও মহাজোটের সাথে সম্পৃক্ততা
- ২০২০ সালের নেতৃত্ব এবং দল ভাঙন
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।