বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি): জাতির রক্ষাকারীদের শিক্ষার আধার
২০০৮ সালের ৫ই জুন ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে ‘জ্ঞানের মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধন’ নীতিবাক্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের প্রথম সামরিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস আইন (২০০৯ সনের ৩০ নং আইন) এর মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত ছিল। বিইউপি'র প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে একটি সুসংগঠিত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা। বর্তমানে বিইউপির অধীনে এই সকল প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়েছে।
বিইউপিতে ১৮টি বিভাগ রয়েছে, যেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সহ এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, মেডিকেল সেন্টার, দিবা যত্ন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ক্যাম্পাসে উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং ওয়াই-ফাই সংযোগ উপলব্ধ। এছাড়াও ক্যাম্পাসে একটি হ্রদ এবং ভাসমান সেতু এক আকর্ষণীয় দৃশ্য তৈরি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কঠোর শৃঙ্খলা এবং ছাত্র রাজনীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা নীতি এর বৈশিষ্ট্য। বিইউপি বাংলাদেশের একমাত্র সেশন জ্যাম-মুক্ত জনসাধারণের বিশ্ববিদ্যালয়। সামরিক প্রশাসনের অধীনে থাকলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রবেশ পরীক্ষার মাধ্যমে এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বিইউপি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে এবং দেশের জনশক্তি বিকাশে এর ভূমিকা অপরিসীম।