বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP): একটি বিশদ বিশ্লেষণ
বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP) শব্দটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়। একটি হল মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনীর একটি বিভাগ, অন্যটি বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক বাহিনী। এই নিবন্ধে আমরা উভয় প্রতিষ্ঠানের উপর আলোকপাত করবো।
মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP):
মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বর্মী: နယ်ခြားစောင့်ရဲတပ်ဖွဲ့; সংক্ষেপে বিজিপি) হচ্ছে মিয়ানমার পুলিশ বাহিনীর একটি বিভাগ যা সীমান্ত নিরাপত্তা, সশস্ত্র বিদ্রোহ দমন, জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা চেকপোস্ট পরিচালনার কাজে নিয়োজিত। বিশেষ করে উত্তর রাখাইন রাজ্যে এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তাদের অধিকতর সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়, মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চলমান দেশত্যাগের কারণে। সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি তারা চেকপোস্ট পরিচালনা এবং রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের চলাচলের নথিভুক্ত করার দায়িত্ব পালন করে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির বিদ্রোহীরা রোহিঙ্গাদের উপর বিজিপির দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপি পোস্টে বারবার হামলা করেছে। ২০২৪ সালে, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের মধ্যে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র গোলাগুলির খবরের মধ্যে অন্তত ২৬৪ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এবং মিয়ানমার সেনা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি):
বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি আধাসামরিক বাহিনী যার প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এর সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত। এর ইতিহাস ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন হিসেবে শুরু। বিভিন্ন সময়ে এর নাম পরিবর্তন হয়েছে, যেমন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর), এবং ২০১১ সালে বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ইপিআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বিডিআর-এর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করে বিজিবি গঠন করা হয়। বর্তমানে বিজিবি বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিজিবি নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়মিত প্রকাশিত হয়।