বন দপ্তর

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:০১ পিএম

বাংলাদেশের বন দপ্তর বা বন বিভাগ হলো পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, বন্যপ্রাণী ও বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং বনায়ন কার্যক্রমের দায়িত্বে নিয়োজিত। ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হলেও, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের কার্যক্রম আরও ব্যাপক হয়। ১৯৮৯ সালে বন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর একত্রিত হয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। ২০০০ সালে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম ১৯২৭ সালের বন আইনে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত সংশোধিত বিধিমালায় সরকারী বন ভূমিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। বন দপ্তর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে অবক্ষয়িত বন ও অব্যবহৃত পতিত জমিতে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে। ১৯৮১-৮২ সাল থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত ৪৭৮ কোটি টাকার বেশি লভ্যাংশ ২ লক্ষ ৪২ হাজারের বেশি উপকারভোগীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বনভূমি উন্নয়ন ও বনজ সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা এনেছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বন দপ্তরের আওতায় মিরপুর জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন, কাপ্তাইয়ের বন উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বন মহাবিদ্যালয় (চট্টগ্রাম) সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান বন সংরক্ষক হলেন মোহাম্মদ আমীর হোসাইন চৌধুরী। বন দপ্তর দেশের প্রায় ১৩.২৮% এলাকা বনভূমিতে আবৃত রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত
  • পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন
  • বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে
  • সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন
  • দেশের প্রায় ১৩.২৮% এলাকা বনভূমিতে আবৃত রাখার লক্ষ্য

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বন দপ্তর

পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার বন দপ্তর বাঘিনী ধরার চেষ্টা করছে।