বাংলাদেশে ফয়জুর রহমান নামে একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন, তাই তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাদের পরিচয় নির্দিষ্ট করতে হবে। উপলব্ধ তথ্য থেকে দুজন ফয়জুর রহমানের তথ্য পাওয়া গেছে:
১. ফয়জুর রহমান (রাজনীতিবিদ):
ফয়জুর রহমান (জন্ম: ৫ নভেম্বর ১৯৬৬) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি কুমিল্লা জেলার নবীনগর থানার গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মজিবর রহমান এবং মাতা আয়শা খাতুন।
২. ফয়জুর রহমান (সেনা কর্মকর্তা):
মোঃ ফয়জুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন লেফট্যানেন্ট জেনারেল এবং কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল। ২১ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতির আগে তিনি খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে নিয়োগ পান। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি সেনা অঞ্চলের কমান্ডার ছিলেন। তিনি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর এবং এনডিসিতে ওয়ার কোর্সের ডিরেক্টরিং স্টাফ এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিলেন। ৬৬ পদাতিক ডিভিশন নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে “জয়েন্ট ম্যানুভার এক্সারসাইজ-২০২২” নামে মহড়ার আয়োজন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান এবং সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের ২৮ তম কমান্ড্যান্ট ছিলেন। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক এবং ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সালে লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পান।
৩. ফয়েজুর রহমান (মুক্তিযোদ্ধা):
ফয়েজুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তাঁর জন্ম টাঙ্গাইল জেলার দিঘুলিয়ায়। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঘাটাইলের যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধে আহত হয়ে তিনি ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল মুক্তির পর মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন।
৪. ফয়জুর রহমান আহমেদ:
ফয়জুর রহমান আহমেদ (জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯২১ - মৃত্যু: ৫ মে ১৯৭১) ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। ২০17 সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরষ্কার দেওয়া হয়। তিনি বিখ্যাত বাংলাদেশী লেখক হুমায়ূন আহমদের পিতা। তিনি নেত্রকোনার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বিএ পাস করেন এবং পরে পুলিশ এ যোগ দেন। বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং ৫ মে ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।