ফেলানী খাতুন

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:২৬ পিএম

ফেলানী খাতুন: এক অসমাপ্ত ন্যায়বিচারের গল্প

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে, যা আজও বাংলাদেশের মানুষের মনে গভীর আঘাত রেখে গেছে। ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী খাতুন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত হন। তার মৃতদেহ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঝুলে ছিল। এই ঘটনার চিত্র বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

ফেলানী খাতুনের বাবা, নুরুল ইসলাম, দীর্ঘদিন ধরে ভারতের নতুন দিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। ফেলানী তার সাথেই ছিলেন। বিয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ফিরছিলেন তারা। সীমান্ত পারাপারের সময় কাঁটাতারে কাপড় আটকে যাওয়ার পর ফেলানীর চিৎকারে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে তাকে হত্যা করে।

এই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিজিবি বিএসএফ-এর সাথে বৈঠক করে ফেলানীর হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে চাপ প্রয়োগ করে। বিএসএফ তাদের নিজস্ব আদালতে মামলা করে। বাংলাদেশের সাক্ষীরা ভারতে গিয়ে সাক্ষ্য প্রদান করে। তবে, দীর্ঘ সময় ধরেও এই মামলার সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়নি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ফেলানীর পরিবারের পক্ষে ন্যায়বিচারের দাবিতে কাজ করে চলেছে।

ফেলানী খাতুনের মৃত্যু একটি সীমান্তবর্তী কিশোরীর দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরেছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। তার ন্যায়বিচারের অপেক্ষা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনা সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে ফেলানী খাতুন নিহত হন।
  • কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
  • এই ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
  • ফেলানীর হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে।
  • মামলাটি ভারতের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ফেলানী খাতুন

৭ জানুয়ারি ২০১১

ফেলানী খাতুনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নির্মমভাবে হত্যা করে।