প্রীতি জিন্টা: এক অসাধারণ অভিনেত্রীর জীবনযাত্রা
প্রীতি জিন্টা (জন্ম: ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭৫) একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক এবং উদ্যোক্তা। হিন্দি ছাড়াও তিনি তেলুগু, পাঞ্জাবি এবং ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শিমলায় জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী ইংরেজি ও অপরাধ মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী। ১৯৯৮ সালে ‘দিল সে…’ ছবি দিয়ে তিনি বলিউডে অভিষেক করেন এবং ‘সোলজার’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগতা অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।
‘ক্যায়া কেহনা’ (২০০০) ছবিতে কিশোরী একক মাতার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন। ২০০৩ সালে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন। ‘কোই… মিল গয়া’ (২০০৩) ও ‘বীর-জারা’ (২০০৪) ছবির মাধ্যমে তিনি দুই বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘সালাম নমস্তে’ (২০০৫) এবং ‘কভি আলবিদা না কেহনা’ (২০০৬) ছবিতে স্বাধীন ও আধুনিক ভারতীয় নারীর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান করে নেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রীতির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ২০০৮ সালে কানাডিয়ান চলচ্চিত্র ‘হ্যাভেন অন আর্থ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে সিলভার হুগো পুরস্কার পান। তিনি একজন সামাজিক কর্মী, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মঞ্চ অভিনেত্রীও। ২০০৪-২০০৫ সালে বিবিসি নিউজ অনলাইনে তিনি কলাম লিখেছেন। তিনি পিজেঞ্জেড মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৭ সাল থেকে সাউথ আফ্রিকান টি-টোয়েন্টি গ্লোবাল লিগের স্টিলেনবোশ কিংস দলের মালিক।
প্রীতি জিন্টার জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখা গেছে। ১৯৭৫ সালে হিমাচল প্রদেশের শিমলায় এক রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ১৩ বছর বয়সে পিতার মৃত্যু তার জীবনে এক গভীর আঘাত হিসেবে এসেছিল। তার মায়েও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এসব ঘটনার পর প্রীতি দ্রুত পরিণত হন। বর্তমানে তিনি একজন সফল অভিনেত্রী, প্রযোজক এবং উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃত।