প্রিয়া

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

রাজশাহীর এক সাবেক দম্পতির মধ্যে চলছে মামলার যুদ্ধ। প্রিয়া খাতুন (২৪) ও আবুল কালাম আজাদ রিংকু (২৮) নামে দুজনের মধ্যে বিবাহপূর্ব ও বিবাহোত্তর মোট ১৯টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। রিংকু, একজন ছাপাখানা ব্যবসায়ী, দাবি করেন প্রিয়া তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছেন, যদিও প্রিয়া বলেন রিংকু তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা করেছেন। রিংকু ৫টি মামলা করার কথা স্বীকার করেছেন।

রিংকুর বাড়ি রাজশাহী নগরীর ডিঙ্গাডোবা মহল্লায় এবং তার ছাপাখানা নিউমার্কেটে। প্রিয়া খাতুনের বাড়ি রাজশাহীর দামকুড়া এলাকায় এবং তিনি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। রিংকুর অভিযোগ, ২০১৯ সালের জুনে রাজশাহী কলেজে প্রিয়ার সাথে দেখা হয়, প্রিয়া তাকে প্রেম প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ভুয়া কাবিননামা নিয়ে প্রিয়া তার বাড়িতে এসে উঠেন এবং যৌতুকের মামলা করেন। রিংকু জাল কাবিননামা তৈরির অভিযোগে প্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে প্রিয়া রিংকুর ছাপাখানায় কীটনাশক পান করেন এবং হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এই ঘটনার পর আপসের স্বার্থে ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০২১ সালে তাদের ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তবে, বিবাহোত্তর তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং রিংকু গত বছর কাজী অফিসের মাধ্যমে প্রিয়াকে তালাক দেন। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে মামলার ধারা শুরু হয়।

প্রিয়ার দাবি, রিংকু জোর করে তাকে বিয়ে করেছেন এবং মাদকাসক্ত এবং অনৈতিক কাজে জড়িত। দুজনের দাবির বিরোধীতা রয়েছে। আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আপস মীমাংসা সম্ভব হয়নি। প্রিয়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কিছু শর্ত দিয়েছিলেন, যা রিংকু মেনে নেননি। চলমান মামলাগুলিতে প্রিয়া রিংকু ও তার আত্মীয়স্বজনদের আসামি করেছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজশাহীতে সাবেক দম্পতির মধ্যে ১৯টি মামলা
  • প্রিয়া খাতুন ও আবুল কালাম আজাদ রিংকুর মধ্যে মামলা
  • বিয়ে, বিচ্ছেদ এবং এরপর মামলার বন্যা
  • আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের মধ্যস্থতা ব্যর্থ
  • দুই পক্ষের বিরোধী দাবি

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - প্রিয়া

আবুল কালাম আজাদ রিংকু ও প্রিয়া খাতুনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের পর একাধিক মামলা হয়েছে।