দামকুড়া: রাজশাহীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ও থানা
দামকুড়া নামটি দুটি ভিন্ন প্রশাসনিক এককের সাথে সম্পর্কিত: একটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত থানা এবং অন্যটি রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার একটি ইউনিয়ন। উভয়ই রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত।
দামকুড়া থানা: ২০১৮ সালের ১ মার্চ রাজশাহী মহানগরে নতুন থানা হিসেবে দামকুড়া থানার যাত্রা শুরু হয়। এটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। থানার নিজস্ব ভবন না থাকায় একটি ভাড়া করা দ্বিতল ভবন ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা যায়। থানার অবস্থান দামকুড়া থানাধীন কাশিয়াডাঙ্গা-দামকুড়া হাট গামী রাস্তার পাশের মধুপুর বটতলা মোড় হইতে দক্ষিণে ১০০ গজ ভেতরে। থানা গঠনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি এবং বেসিসের ভূমিকা ছিল।
দামকুড়া ইউনিয়ন: রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার অন্তর্গত দামকুড়া ইউনিয়ন ১৭.৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জনসংখ্যা প্রায় ২০,৭৮১ জন। সাক্ষরতার হার ৬৫%। ইউনিয়নে ২৩টি গ্রাম, ১৩টি মৌজা এবং ২টি হাট/বাজার রয়েছে। কৃষিকাজ এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। আম, পেঁপে, কলা, লিচু, ধান, ভুট্টা ইত্যাদি ফসল উৎপাদিত হয়। ছোট ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দামকুড়া বাজার কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এখানে জোহাখালি নামে একটি বিশাল খাল রয়েছে, যা পদ্মা নদীর রাজবাড়ী অংশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ইউনিয়নে ১টি কলেজ, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা, ৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১টি বেসরকারী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
দামকুড়া থানা ও ইউনিয়ন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি সম্পূর্ণরূপে আপডেট করা হবে।