বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নতুন ধারণা নিয়ে আসছে প্রিপেইড মিটার। বিদ্যুতের অপচয় রোধ এবং হিসাব রাখার সুবিধার্থে সরকার ২০১৭ সাল থেকে দেশজুড়ে ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার স্থাপন করছে। নেসকো, পিডিবি, ডিসকো, ওয়েস্টজোন সহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানি এতে অংশগ্রহণ করছে। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে গ্রাহকের ভোগান্তি কমে এবং সরকারের আয় বাড়ে।
প্রিপেইড মিটারের দুই প্রকার:
- কিপ্যাড টাইপ: বোতাম টিপে টাকা রিচার্জ, ব্যালেন্স দেখা, মিটার চালু-বন্ধ করা যায়। ইউনিট ট্রান্সফার ও কারেন্সি ট্রান্সফার সিস্টেম উভয় টেকনোলজি ব্যবহৃত।
- স্মার্ট কার্ড টাইপ: কারেন্সি ট্রান্সফার সিস্টেম ব্যবহার করে স্মার্ট কার্ড দিয়ে রিচার্জ করা যায়। এটিএম এর মতো কাজ করে।
প্রথম রিচার্জ: প্রথম ১০০০ টাকা রিচার্জে মিটার পরীক্ষা, ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জ বাদে ৭৯২ টাকা ব্যবহারযোগ্য থাকে। পরবর্তী রিচার্জে শুধু ভ্যাট কাটা হয়।
রিচার্জ পদ্ধতি: কিপ্যাড টাইপ মিটারে মিটার নাম্বার দিয়ে বিদ্যুৎ অফিস, ভেন্ডিং স্টেশন, মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে রিচার্জ করা যায়। স্মার্ট কার্ড টাইপ মিটারে কার্ড রিচার্জ করে মিটারে পাঞ্চ করতে হয়।
কোড: বিভিন্ন কোম্পানির মিটারে বিভিন্ন কোড ব্যবহার করা হয় ব্যালেন্স চেক (৮০১), ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স, মিটার নাম্বার (৮০৪) জানতে।
সমস্যা: ওভারলোডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হতে পারে। বেশি লোডের যন্ত্র ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। ব্যালেন্স শূন্য হলে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, তবে সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্ধ হয় না।
উল্লেখযোগ্য কিছু মিটার কোম্পানি: হেক্সিল ইলেকট্রিক্যাল, শেনজেন ইনহেমিটার কোং লিমিটেড ইত্যাদি।