প্রশাসনিক তদন্ত: সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল প্রশাসনিক তদন্ত। কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে, কর্তৃপক্ষ যদি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা সম্পর্কে ধারণা পায় তবে প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়।
প্রশাসনিক তদন্তের ক্ষেত্রে, একজন অথবা একাধিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা অথবা তার সমপর্যায়ের এক বা তিন জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অভিযোগের তদন্ত করে, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হতে পারে। বিভাগীয় মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে, কর্তৃপক্ষ অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী প্রণয়ন করে। এই নথিতে অভিযোগ, প্রশাসনিক তদন্ত প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করা হয়।
প্রশাসনিক তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং তাকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপক্ষে কারণ দর্শানোর জন্য যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করা হয়। তবে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সুযোগ প্রদান অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হলে তা প্রদান করা হয় না। তদন্ত শেষে, প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত বলে মনে হলে তদানুসারে আদেশ প্রদান করে। প্রশাসনিক তদন্তের পদ্ধতি এবং তার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হলে আমরা পরবর্তীতে আপডেট প্রদান করব।