বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত, টেক্সটাইল ও নিট পোশাক শিল্প গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ এবং ব্যাংক খাতের অস্থিরতা এই সংকটের প্রধান কারণ। গত এক বছরে ১৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে প্রায় ৯৪,০০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপ প্রায় ৪০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। শ্রমিক অসন্তোষ, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, কাঁচামাল আমদানির এলসি সমস্যা, গ্যাস সংকট, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, মজুরি বৃদ্ধি, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কারখানা মালিক শ্রমিকদের বেতন দিতে না পেরে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, এক বছরে ৭৬টি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং ৫১,০০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) জানিয়েছে, এক বছরে ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং ৩৫,০০০ কর্মী বেকার হয়েছে। বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) জানিয়েছে, ১৪টি বৃহৎ কারখানা বন্ধ রয়েছে এবং প্রায় ৮,০০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমার কারণে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলো রপ্তানি বাজারে ভাগ বসাচ্ছে। বেক্সিমকো গ্রুপের ঘটনায় প্রায় ৪০,০০০ কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা এবং শ্রমিক নেতারা বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছেন। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, তবে সংকট এখনও অব্যাহত আছে। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, ইউনিয়ন কর্মকাণ্ডের সুযোগ, দর-কষাকষির সুযোগ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, গার্মেন্টস খাতের স্থিতিশীলতা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সম্পর্কে আলোচনা এবং সমাধান খুঁজে পাওয়া জরুরি।
পোশাক শ্রমিকরা
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- তৈরি পোশাক খাত গভীর সংকটে
- জ্বালানি সংকট ও শ্রমিক অসন্তোষ প্রধান কারণ
- এক বছরে ৯৪,০০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন
- বেক্সিমকো গ্রুপ ৪০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে
- উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না অনেকে
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - পোশাক শ্রমিকরা
পোশাক শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছিল।
24/12/2024
তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন।