তানজিনা বেগম (৩৬) গাজীপুরের কাশিমপুরের সারাবো এলাকার বেক্সিমকোর পোশাক কারখানার ফটকের সামনে চাকরি ফিরে পাওয়ার আকুল আবেদন জানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাঁচ বছর আগে তিনি এই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তার সাথে আরও ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজে ফিরে যাওয়ার দাবিতে একত্রিত হয়েছিলেন। তাদের দাবি ছিল মজুরি পেতে এবং সংসার চালানোর জন্য কাজে ফিরে যাওয়া। তানজিনার সাথে থাকা জান্নাতি বেগম (৩০) জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ হওয়ার কারণে কাজ করতে পারছেন না এবং তাঁর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। জান্নাতি বেগমও বেক্সিমকোর কর্মী ছিলেন এবং কাজ হারানোর পর থেকে তিনি অন্য কোনো কারখানায় চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়েছেন,কারণ তাকে বেক্সিমকোর শ্রমিক হিসেবে চেনা হয়। বেক্সিমকোর ১৬ টি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৪২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এই ঘটনার সাথে তানজিনা বেগমের জীবনে আর্থিক ও মানসিক দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তানজিনা বেগম
মূল তথ্যাবলী:
- তানজিনা বেগম বেক্সিমকোর পোশাক কারখানায় পাঁচ বছর কাজ করেছেন।
- বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানা বন্ধ হওয়ায় ৪২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে।
- তানজিনা এবং অন্যান্য বেক্সিমকোর শ্রমিকরা কাজে ফিরে যাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
- বেক্সিমকোর শ্রমিকরা বেতন-ভাতা ও পাওনা টাকার জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গণমাধ্যমে - তানজিনা বেগম
তানজিনা বেগম চাকরি হারানোর পর বেক্সিমকো কারখানার সামনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন।