পেনাল্টি: ব্যর্থতা আর সুযোগের খেলা
ম্যানচেস্টার সিটির ক্ষেত্রে পেনাল্টি শুধুমাত্র একটি ফুটবল ম্যাচের ঘটনা নয়, বরং এটি দলের সম্প্রতি বরাবরের ব্যর্থতার প্রতীক। বক্সিং ডেতে এভারটনের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করার ম্যাচে আর্লিং হালান্ডের পেনাল্টি মিসের মাধ্যমে সিটির চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার স্বপ্ন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
২৬ ডিসেম্বর, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সিটি প্রাথমিকভাবে এগিয়ে ছিল। বার্নার্দো সিলভার ১৪ মিনিটের গোলে তারা এগিয়ে যায়। কিন্তু ৩৬ মিনিটে ইলিমান ইনদিয়ায়ের গোলে এভারটন সমতায় ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে সিটি পেনাল্টি পায়, কিন্তু হালান্ড সেটি মিস করে।
এই পেনাল্টি মিস সিটির সম্প্রতি দুর্বল পারফরম্যান্সেরই একটি নিদর্শন। গত ১৩ ম্যাচে তাদের মাত্র ১টি জয়, ৯টি হার ও ৩টি ড্র রয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে তারা ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে, যা তাদের আগের সাফল্যের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
এই পেনাল্টির ঘটনাটি কেবলমাত্র হালান্ডের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা নয়। এটি ম্যানচেস্টার সিটির সামগ্রিক দলীয় পারফরম্যান্সের নেতিবাচক প্রতিফলন। পেনাল্টি শুধুমাত্র একটি সুযোগ ছিল, যা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। পেনাল্টি মিসের ফলে দলটি পয়েন্ট হারিয়েছে, যা তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার দৌড়কে প্রভাবিত করেছে।
আর্লিং হালান্ডের পেনাল্টি মিসের পাশাপাশি, ম্যাচটিতে ম্যানচেস্টার সিটির রক্ষণেও দুর্বলতা ছিল। প্রতিপক্ষের প্রায় ৮টি শটের মধ্যে ৩টি লক্ষ্যভেদী হয়েছে। এই দুর্বলতাও তাদের ব্যর্থতার একটা কারণ।
অনেকের মতে, এই ব্যর্থতার জন্য দলের কোচ পেপ গার্দিওলার কৌশল, দলের মনোবল ও খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের অভাবকেও দায়ী করা হচ্ছে।
মোটকথা, এই পেনাল্টির ঘটনা ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান দুর্বল অবস্থার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।