পেকুয়া উপজেলা: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পেকুয়া উপজেলা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। কক্সবাজার জেলার উত্তরাংশে অবস্থিত এই উপজেলার আয়তন ১৩৯.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। ভৌগোলিক অবস্থান ২১°৪৩´ থেকে ২১°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৩´ থেকে ৯২°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৭ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক বিভাগ: ২০০২ সালের ২৩ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে পেকুয়া উপজেলা গঠিত হয়। উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পেকুয়া থানার আওতাধীন। এই সাতটি ইউনিয়ন হল: বারবাকিয়া, মগনামা, পেকুয়া, রাজাখালী, শিলখালী, টৈটং এবং উজানটিয়া।
জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী: ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পেকুয়া উপজেলার লোকসংখ্যা ছিল ১,৭১,৫৩৮ জন। এদের মধ্যে ৮৬,৩১০ জন পুরুষ এবং ৮৫,২২৮ জন মহিলা। জনসংখ্যার ৯৮.৯৫% মুসলিম, ০.৯৬% হিন্দু, এবং অবশিষ্ট ০.০৯% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। উল্লেখযোগ্যভাবে, মগ ও রোয়াইসহ বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস এখানে রয়েছে।
শিক্ষা: পেকুয়া উপজেলায় শিক্ষার হার ৬৭%। এখানে কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং কিন্ডারগার্টেনসহ নানা ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যোগাযোগ: চকরিয়া-পেকুয়া এবং বাঁশখালী-পেকুয়া সড়ক এই উপজেলার প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। বাস, অটোরিক্সা, এবং টমটম এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নদী ও জলাশয়: মাতামুহুরী নদী উপজেলার দক্ষিণ ও পূর্ব সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে, আর পশ্চিমে কুতুবদিয়া চ্যানেল অবস্থিত। ভোলাখাল নদী উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করেছে।
অর্থনীতি: কৃষি এখানকার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ধান, আলু, সরিষা, মরিচ, আখ, গম প্রভৃতি ফসলের চাষাবাদ হয়। মৎস্যচাষও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এছাড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উপজেলা অর্থনীতিতে অবদান রাখে।
ধর্মীয় স্থাপনা: উপজেলায় অসংখ্য মসজিদ, মন্দির এবং বিহার রয়েছে।
ঐতিহাসিক ঘটনা: মুক্তিযুদ্ধের সময় পেকুয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের কোন ঘটনা নথিভুক্ত নেই। তবে পেকুয়ার মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অন্যান্য স্থানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও তথ্য: উপজেলার সম্পূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী ও স্থানীয় তথ্য উৎস পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।