পারভীন: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
'পারভীন' নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই লেখায় আমরা দুইজন বিশিষ্ট পারভীনের জীবনী ও কাজের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো।
১. সেলিনা পারভীন (১৯৩১-১৯৭১): একজন সম্মানিত সাংবাদিক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী। তিনি ১৯৩১ সালের ৩১শে মার্চ নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ছোট কল্যাণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল মনোয়ারা বেগম। ১৯৫৪ সালে তিনি এফিডেভিট করে সেলিনা পারভীন নাম গ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন ফেনীর সরলা বালিকা বিদ্যালয়ে। বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। ১৯৪৯ সালে প্রাইভেট ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ১৯৪৫ সালে কিশোরগঞ্জের মোহনগঞ্জে থাকাকালীন কলকাতা নিবাসী এক শিক্ষয়িত্রীর সান্নিধ্যে এসে সাহিত্যচর্চায় অনুপ্রাণিত হন। কবিতা লিখে সাহিত্য জীবনের সূচনা করেন। পূর্বদেশ, আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, সংবাদ, ইত্তেফাক ও বেগমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিবন্ধ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ১৯৫৭ সালে মিটফোর্ড হাসপাতালে নার্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৯ সালে 'শিলালিপি' নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর আল-বদর বাহিনী তাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৮ ডিসেম্বর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে, বাংলাদেশ সরকার তার নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
২. ফরিদা পারভীন (জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৫৪): একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। তিনি মূলত পল্লীগীতি ও লালন সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাউল গ্রামে তাঁর জন্ম। তার কর্মজীবন সঙ্গীতময়, তিনি আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গানও গেয়েছেন। একুশে পদক (১৯৮৭) এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার (১৯৯৩)সহ অনেক পুরষ্কার লাভ করেছেন।
উপরোক্ত দুইজন ব্যক্তি ছাড়াও অন্যান্য পারভীনও থাকতে পারে। যদি আপনার আরও তথ্যের প্রয়োজন হয়, দয়া করে জানান। আমরা আপনাকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে সক্ষম হবো।