বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফারনান্দো দিয়াস ফেরেস: গরু আমদানি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি স্থানান্তর
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফারনান্দো দিয়াস ফেরেস সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্রাজিলীয় গরু আমদানি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে গরুর গোশত আমদানির প্রক্রিয়া চললেও, পূর্ববর্তী সরকারের সময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং প্রয়োজনীয় সনদপত্র (সার্টিফিকেশন) না পাওয়ার কারণে এটি সম্ভব হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বিগত সরকারের সময় তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত গরুর গোশত আমদানির অনুমতি পাওয়া যায়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, বর্তমানে এই প্রক্রিয়া দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।
ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানির সুবিধা:
রাষ্ট্রদূত ফেরেস বলেছেন, বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বেশি হলেও ব্রাজিলে তা অত্যন্ত সস্তা। ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গরু ও পোলট্রি মাংস উৎপাদনকারী দেশ এবং অনেক মুসলিম দেশেই ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানি করা হয়। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে গরুর গোশত আমদানি হলে, দেশের গরুপালন খাতের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তরেরও সুযোগ তৈরি হবে।
'মেড ইন বাংলাদেশ এক্সপো-২০২৫':
ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) চলতি বছরের ১৫-১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো 'মেড ইন বাংলাদেশ এক্সপো-২০২৫' আয়োজন করছে। এটি বাংলাদেশী পণ্যের প্রচার, বাজার বৈচিত্র্যকরণ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
রাষ্ট্রদূত ফেরেস উল্লেখ করেছেন যে, ব্রাজিল বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী এবং কৃষি, ওষুধশিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ব্রাজিলের কৃষি-বাণিজ্যের অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য উপকারী হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্রাজিলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির অধীনে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ কেনা হয় এবং বাংলাদেশী ওষুধ কোম্পানিগুলো এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। তবে, এ ক্ষেত্রেও সার্টিফিকেশন সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে।