পর্যটন উন্নয়ন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:২২ পিএম

বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

বাংলাদেশ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের ভান্ডার। পাহাড়, নদী, বিল, হাওর, বন, ধর্মীয় স্থান, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের মন কাড়ে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে পর্যটন খাতের অগ্রগতি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। দেশীয় পর্যটকদের আধিপত্য থাকলেও বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কম। ইউএসএইডের মতে, বাংলাদেশে আসা মোট বিদেশির মাত্র ৫% পর্যটন উদ্দেশ্যে আসে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সূচক-২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ২.২% এবং কর্মসংস্থানে ১.৮%। নেপালের জিডিপিতে এর অবদান ৯%।

পর্যটন খাতের চ্যালেঞ্জ:

পর্যটন প্রচারের অভাব।
ভিসা প্রক্রিয়া ও বিমানবন্দরে হয়রানি।
দুর্বল ও ব্যয়বহুল যাতায়াত ব্যবস্থা।
পর্যটন স্পটে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ।
দূরপাল্লার যাত্রায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও বিনোদনের অভাব।
একাধিক সংস্থার দায়িত্বের কারণে সমন্বয়ের অভাব।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

বাংলাদেশের পর্যটন অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ‘প্লিজ হেল্প মি’ ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন সার্ভিস চালু হয়েছে। তবে পর্যটনবান্ধব নীতির অভাব রয়েছে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব:

পর্যটন খাত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে পারে। একজন পর্যটকের খরচের ৮০% দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ হয়। এফবিসিসিআইয়ের মতে, পর্যটনের সাথে ১০৯টি প্রত্যক্ষ এবং ১১০০টি পরোক্ষ খাত জড়িত। প্রতি পর্যটক গড়ে ৪৫ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী পর্যটন বাজারের বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।

টেকসই উন্নয়ন:

পর্যটন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজির অন্তত ছয়টি লক্ষ্য পর্যটনের সাথে সরাসরি জড়িত।

উন্নয়নের পথ:

দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যটনকে শিল্পের মর্যাদা প্রদান ও জাতীয় পর্যটন পরিষদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সরকারি-বেসরকারি খাত ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করতে হবে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি, সংস্থা এবং স্থান :