পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম নামক সংগঠনটি চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনমত তৈরি ও সরকারের কাছে সুপারিশ উপস্থাপন করে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল প্রকল্প এবং রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা এবং বিকল্প প্রস্তাব।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিবর্তে সাশ্রয়ী বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছিল। তাদের মতে, ঢাকার মত জনসংখ্যা না থাকায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিসঙ্গত নয়। তারা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, যানবাহন ব্যবস্থাপনা, ডেডিকেটেড বাস লেইন এবং ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছিল।
২০২৪ সালের জুন মাসে ফোরামটি মেট্রোরেলের পরিবর্তে বিদ্যমান আঞ্চলিক রেলপথ সংস্কারের মাধ্যমে যাত্রী পরিষেবা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। তাদের মতে, ব্রিটিশ আমলের বিদ্যমান রেলপথ সংস্কার করে অর্থনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জিইসি র্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, এই র্যাম্পটি অপরিকল্পিত এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থে নির্মিত হচ্ছে। ফোরামের সদস্যরা মনে করেন, এই র্যাম্প যানজট বৃদ্ধি করবে এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী। প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রকল্পটিতে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি, নকশা পরিবর্তন এবং বিভিন্ন অসঙ্গতির বিষয়টিও পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম তুলে ধরে। তাদের দাবি, এই প্রকল্প গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞ ও জনমতের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল, ব্যয়, এবং কার্যকরী দিকগুলো নিয়ে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম নিয়মিতভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং সরকারের কাছে বিকল্প প্রস্তাব দেয়। তাদের মূল লক্ষ্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়ন ও জনস্বার্থ রক্ষা। তবে, এই ফোরামের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা আমাদের প্রতিবেদন আপডেট করব।