পণ্য আমদানি

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পণ্য আমদানির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশই আমদানি নির্ভর। এই আমদানি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন জড়িত। প্রধানত, বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ছোট ও মাঝারি আমদানিকারক, সরকারি সংস্থা (যেমন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি), এবং রপ্তানিকারক দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে কৃষিজাত পণ্য (চাল, গম, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি), শিল্পজাত পণ্য (লোহা-ইস্পাত, সিমেন্ট, সার, ওষুধ), মেশিনারি, যানবাহন, ইলেকট্রনিক পণ্য, কাপড়-চোপড়, হস্তশিল্প, রাসায়নিক পণ্য, খনিজ পণ্য, এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য। বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কের উপর নির্ভর করে আমদানির পরিমাণ ও ধরণ নির্ধারিত হয়। ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে। আমদানি নির্ভরতার ফলে দেশের অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উথল-পাথলের সম্মুখীন হয়। সরকার দেশের চাহিদা পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধি, আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে। তবে সিন্ডিকেটের মতো সমস্যা, ডলার সংকট, এবং বড় আমদানিকারকদের কর্তৃত্ব বাংলাদেশের আমদানি প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা ও সমস্যার সৃষ্টি করে। আমদানি নীতি আদেশে বিভিন্ন পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে পুরোনো কাপড়ের আমদানি নিষিদ্ধকরণের মত ঘোষণা এসেছে। ন্যূনতম আমদানিমূল্য বেঁধে দেওয়ার পদ্ধতিও ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমদানি প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করার জন্য এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের কার্যকর উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পণ্য আমদানির গুরুত্ব অপরিসীম।
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আমদানি নির্ভর।
  • ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া প্রমুখ দেশ থেকে আমদানি।
  • আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকারি উদ্যোগ।
  • সিন্ডিকেট ও বাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পণ্য আমদানি

২০২৪

পাকিস্তান থেকে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।