পটুয়াখালী

পটুয়াখালী: বরিশাল বিভাগের একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রকৃতির আলিঙ্গনে আবৃত জেলা। লাউকাঠি নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলাটির নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে, যার মধ্যে ‘পাতুয়ার খাল’ থেকে পটুয়াখালী নামকরণের কথা বেশি প্রচলিত। ১৮৯২ সালে পটুয়াখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এর জনসংখ্যা ছিল ৬৯,৮৩৭। ঐতিহাসিকভাবে, চৌদ্দ শতকে এটি চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অংশ ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে এটি বরিশাল জেলার একটি মহকুমা ছিল এবং ১৮৭১ সালে ব্রজমোহন দত্তের সহায়তায় এই মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পটুয়াখালীর উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলির মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠিত ১৮৭৬), বেগম হাসপাতাল (১৮৭২), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০১) এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। ক্রিকেট ও ফুটবল পটুয়াখালীর জনপ্রিয় খেলা। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সোহাগ গাজী জাতীয় দলে খেলেছেন এ জেলার প্রতিনিধিত্ব করে। পটুয়াখালী বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ। পরিবহন ব্যবস্থায় রিকশা, অটোরিকশা, বাস, লঞ্চ, এবং নৌপথের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ধর্মীয়ভাবে, মুসলমানরা (৮৬.০৯%) প্রধান, হিন্দু (১৩.৮৩%), খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ অল্প সংখ্যক। কলাপাড়া উপজেলায় বিভিন্ন হিন্দু মন্দির রয়েছে। পটুয়াখালী জেলার আয়তন ৩২২১.৩১ বর্গ কিমি, এবং ১৯৬৯ সালে এটি জেলায় উন্নীত হয়। মুক্তিযুদ্ধে পটুয়াখালী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং বহু স্মৃতিস্তম্ভ ও গণকবর এই জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান।

মূল তথ্যাবলী:

  • পটুয়াখালী বরিশাল বিভাগের একটি প্রাচীন শহর ও জেলা সদর।
  • ১৮৯২ সালে পটুয়াখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • মুক্তিযুদ্ধে পটুয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
  • পটুয়াখালী বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ।

গণমাধ্যমে - পটুয়াখালী

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন কৃষি কর্মকর্তা মারা গেছেন।