চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে একটি কার্গো জাহাজে ৭ জন শ্রমিকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকরা এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ১২টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়, যা পণ্যবাহী নৌযানগুলিকে প্রভাবিত করেছে। মালবাহী, তেল-গ্যাসবাহী, বালুবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান এই ধর্মঘটের আওতায় এসেছে। কর্মবিরতির ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও বরিশাল বন্দরে পণ্য খালাস ও পরিবহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শ্রমিকদের প্রধান দাবি হলো হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত, দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি, এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ। নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধ এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন শ্রমিকরা। এই ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে ২০টিরও বেশি বড় জাহাজ আটকে রয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টন আমদানি পণ্য পরিবহনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন নৌপথে প্রায় ৭৭০ টি লাইটারেজ জাহাজ আটকে আছে যাতে প্রায় ১০ লাখ টন পণ্য আছে। শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। যাত্রীবাহী নৌযানগুলো এই কর্মবিরতির আওতায় নেই। প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
নৌযান শ্রমিক
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:০৯ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- চাঁদপুরে জাহাজে ৭ শ্রমিক হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি
- পণ্যবাহী নৌযান চলাচলে ব্যাপক ব্যাঘাত
- চট্টগ্রাম বন্দরে ২০+ বড় জাহাজ আটকে
- শ্রমিকদের দাবি: তদন্ত, গ্রেফতার, ক্ষতিপূরণ ও নৌপথে নিরাপত্তা
- দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।